স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমন প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও দুরপাল্লা রুটের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে মহাসড়কে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করছে থ্রী হুইলার গাড়িগুলো। আর এই অবৈধকাজ বৈধ করার নেপথ্যে রয়েছে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। সূত্রমতে, স্বাভাবিক সময় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মাহিদ্রা, গ্যাস চালিত সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটোরিকসা সর্বোচ্চ যাত্রী নিয়ে নগরীর শেষপ্রাপ্ত গড়িয়ারপাড় কিংবা বানারীপাড়া ও উজিরপুর পর্যন্ত চলাচল করতো। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর সেইসব থ্রী-হুইলারগুলো গত কয়েকদিন থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে মাওয়া পর্যন্ত চলাচল করছে। একাধিক চালকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করা এসব থ্রী-হুইলার থেকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা ঘুষ দেয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ যাচ্ছে বন্ধ থাকা বাস স্টাফদের পকেটে আর অপর অংশটি যাচ্ছে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার কতিপয় অফিসারের পকেটে। তবে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে এয়ারপোর্ট থানার ওসি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে সকলধরনের থ্রী হুইলারকে মহাসড়কে চলাচল করার বিষয়টি সম্পূর্ন অবৈধ দাবি করে বরিশাল বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা বলেন, স্বল্প ও সীমিত পরিসরের ক্ষমতা ইঞ্জিন সম্পন্ন এই যানবাহনগুলো দুরপাল্লা রুটে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ন। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাস শ্রমিকরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে মাহিদ্রায় যাত্রী তুলে দিচ্ছে। ফলে প্রতি ট্রিপে গাড়ি প্রতি দেড়শ’ টাকা করে রেখে দিচ্ছেন ওইসব বাস শ্রমিকরা। একাধিক মাহিন্দ্রা চালক জানান, বাস শ্রমিকদের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের দুটি চেক পোষ্টে পৃথকভাবে গাড়ি প্রতি একশ’ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, প্রতিদিন চলাচল করা মাহিন্দ্রা থেকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার অধিক চাঁদা দিতে হচ্ছে। সূত্রমতে, নথুল্লাবাদ থেকে মাওয়া পর্যন্ত প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে পাঁচশ’ এবং উজিরপুরের ইচলাদী ও গৌরনদীর ভুরঘাটার যাত্রীদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
Leave a Reply